প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনসমূহ
প্রত্নতাত্বিক পরিমন্ডলে শিবপুর উপজেলার অবদান অনস্বীকার্য। উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের কামরাবর ধুপিরটেক গ্রামে বৌদ্ধ পদ্ম মন্দির আবিস্কার করা হয়েছে। আবিষ্কৃত এই বৌদ্ধ পদ্ম মন্দিরটির স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট দেব খড়গের স্বাক্ষর অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে ৭ম দশকের বলে অনুমতি হয়। ধারনা করা হয় প্রায় ২৫০০ বছর আগে এই জায়গায় বৌদ্ধদের পদ্ম নামে একটি মন্দির ছিল। কারণ এখানে যা পাওয়া গিয়াছে তার মধ্যে ৭০ সেঃ মিঃ দৈর্ঘ্য ও ৭০ সেঃ মিঃ প্রস্থ ইটের দেওয়াল পাওয়া গেছে এবং ওয়ালের পূর্ব দিকে ৩ ফুট দূরে বারান্দার মত আরেকটি ওয়াল পাওয়া গেছে এবং দুই দিকে দুইটি দরজার মত পাওয়া যায় এতে করে ধারনা করা যায় মন্দিরে পুজা করতে এসে এক দরজা দিয়ে ঢোকে অন্য দরজা দিয়ে বের হতো। এই জায়গাটি খননের জন্য বাংলা মাপে প্রায় ৫ গন্ডা জমি ক্রয় করে খনন কার্যক্রম চালাচ্ছে।যোশর ইউনিয়নের টঙ্গিরটেক নামক স্থানে প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বের প্রত্নতাত্বিক প্রচুর নিদর্শন আবিস্কারের পর্যায়ে খনন কাজ চলছে। জানখারটেক এলাকায় প্রত্নতাত্বিক প্রাচীন নিদর্শন আবিস্কারের পর্যায়ে রয়েছে। জয়মঙ্গল পাহাড়ী গ্রামে আবিস্কৃত হয়েছে গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রা। আশ্যাফপুরে আবিস্কৃত সপ্তম শতাব্দীর মহারাজাদের খড়গদের তাম্রলিপি এবং অষ্টধাতুর নির্মিত বৌদ্ধ নিবেদন স্তুপ। কুমরাদী গ্রামে লালমাটি এবং প্রাচীন পুরাকীর্তির নমুনা বাংলার সুলতানি আমলের স্থাপত্য শৈলীর এক উজ্জল নিদর্শন। প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদী হাড়িদোয়ার পশ্চিম তীরে অবস্থিত কুমারটেক এলাকার প্রায় ১০/১২ হাত মাটির নিচ থেকে প্রাচীন মৃৎপাত্র, ভগ্নটুকরা এবং মাটির তৈরি ছোট ছোট গোলা পাওয়া গেছে। কতিথ আছে এগুলো খ্রিস্টপূর্ব হাজার হাজার অব্দের সময়কালের মৃৎপাত্র এবং শিকারীদের ব্যবহার উপযোগী গোলা।